অনলাইন ডেস্ক:
মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য বিশেষ খ্যাতি আছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির। এমনকি সেই ব্যাটিংয়ের সুবাদে নামকরণ হয়েছে ‘বুমবুম’। উরাধুরা চার-ছক্কা হাঁকানো আফ্রিদির অভিধানে মাথা খাটিয়ে ব্যাটিং করা শব্দটি নেই। কিন্তু বিপিএলের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে খেলে সফল হয়েছেন আফ্রিদি। জিতিয়েছেন দলকে। আর সেই আফ্রিদির ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন কোচ সালাউদ্দীন।
তামিম ইকবালের সাথে আফ্রিদির নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং কুমিল্লাকে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে। তবে মিরপুরের কঠিন উইকেটে লো স্কোরিং ম্যাচে ১২৮ রানের ম্যাচ জিততেও শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হয়েছে তারকায় ঠাসা কুমিল্লাকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচে আসলে প্রতিটি দলই নার্ভাস থাকে। আমরাও নার্ভাস ছিলাম এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আফ্রিদি এতোটা সচেতন হয়ে খেলবে এটা কখনোই ভাবিনি।
‘আমার মনে হয় ও অনেক অভিজ্ঞ পাশাপাশি ও নিজেও সেদিন বলছিল এখন সে ব্যাটিং অনেক সচেতন হয়ে ব্যাট করে। আশা করবো আফ্রিদি পুরো টুর্নামেন্টে এভাবে সচেতন হয়ে খেলবে।’
১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কুমিল্লা ইনিংসের ১৫তম ওভারে বিজয়ের উইকেট হারায়। উইকেটে জমে যাওয়া তামিমকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামতে হয় আফ্রিদিকে। দলের জয়ের জন্য তখনও ৪৫ রান দরকার, হাতে আছে ৩৪ বল।
উইকেটে জমে যাওয়া তামিমের সাথে আফ্রিদি জুটি গড়তে পারলেই জয় নিশ্চিত কুমিল্লার। কিন্তু ১৭তম ওভারে দলের ৯৭ রানের সময় রান আউট হন তামিম। সেখান থেকে রান বাড়ানোর দায়িত্ব এসে বর্তায় আফ্রিদির কাঁধে, কুমিল্লার চাহিদা তখন ২১ বলে ৩১ রান।
উইকেটে টিকে থাকলেই কুমিল্লার জয় নিশ্চিত, আফ্রিদির সেই সময় আফ্রিদি ইনিংস না খেলে এক-দুই রানে প্রান্ত বদল করে খেললেই ফলাফল কুমিল্লার পক্ষে যাবে। আফ্রিদি তাই করলেন, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলে ২৫ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফ্রিদি। মাথা খাটিয়ে খেলেই কুমিল্লাকে ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতালেন তিনি। ক্রিকফ্রেঞ্জি
Leave a Reply