রবিউল হোসেন।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা সহ ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। রবিবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রগুরো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের পর আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের জামবাড়ি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফিতা কেটে ৪ টি আধাঁপাকা ও ৮৪ টি টিনসেড বাড়িসহ মোট ৮৮টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ির উদ্বোধন করেন আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরীন সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসময় আমড়াতলী ইউনিয়নে দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে দুর্যোগ সহনীয় একটি আধাঁপাকা বাড়ি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোস্তফা মাইদুল, ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সাইফুল আলম, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির,আমড়াতলী ইউনিয়ন আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হাসু, আদর্শ সদর উপজেলা আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো.শরিফুল ইসলাম,ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূটির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তৈরি গৃহহীন মানুষের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর উদ্বোধন হবে । স্থানীয় ভাবে টিভিতে সম্প্রচার অনুষ্ঠান দেখে দুর্যোগ সহনীয় ১১ হাজার ২৭৩টি বাসগৃহের নামফলক উন্মোচন করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘরের নামফলকে লেখা থাকবে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান/টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
Leave a Reply