অনলাইন ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সারাদিন এত পরিশ্রম করেন যা এই বয়সে শরীরে না সওয়ারই কথা। তবে বয়স যেহেতু বাড়ছে হার্টে এমন ব্লক দেখা দেওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, এটা আমার বয়সী আরও অনেকের এমন হতে পারে। কারণ মানুষের শরীর, যন্ত্র নয়। কাজের চাপ ও অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেই এমনটি হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান বিএসএমইউর ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এ সময় তিনি বলেন, রোগীর কাছে অযথা ভিড় না করাই সবচেয়ে ভাল হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে রবিবার (৩ মার্চ) সকাল থেকে কী খবর নেতার, কেমন আছে দলের অন্যতম মাঝি। যিনি দল ও মন্ত্রণালয়কে সময় দিতে দিতে নিজের শরীরের খোঁজটুকু রাখতে পারলেন না। নেতারা বুঝি এমনিই হয়। দেশ, দল ও পরিবার কখন হয় নিজের শরীরে খোঁজ রাখার, শরীর সে তো বহু আগেই দিয়ে বসেছেন জনগণের মাঝে। তাদের মত কৃর্তীমান মানুষদের কী চাওয়া পাওয়ার আছে? দেয়ার জন্য উদগীব থাকে সারাক্ষণ। নেয়া বলতে শুধু মানুষের ভালোবাসা।
রবিবার (৩ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়।দলীয় সূত্রে জানা যায়, এদিকে আজ সকালে ফজরের নামাজ শেষ হঠাৎ করেই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার।
এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগের অধীনে তার এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, ওবায়দুল কাদেরের হার্টে ৩টি ব্লক রয়েছে।
Leave a Reply