অনলাইন ডেস্ক:
১৫ বছরের এক স্কুলছাত্রের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে রাজশাহীতে এসে ৩৫ বছর বয়সী এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমনকি তাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ও নারী।নগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় একটি লিচু বাগানে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি রয়েছেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে খুলনা থেকে ওই নারী রাজশাহী এসেছিলেন।ওসি আরও বলেন, গত ২ মে সকালে ওই নারী থানায় গিয়ে জানান- তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চার যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির হেফাজতে দেয়া হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই নারীর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। তাদের খবর দেয়া হয়েছে। তাদের রাজশাহীতে আসার কথা রয়েছে। তারা আসার পর মামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি হুমায়ুন জানান, ওই এলাকার রংমিস্ত্রি গাজু মিয়ার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই নারীর মোবাইল ফোনে পরিচয় ঘটে।
পরিচয়ের জের ধরে গত ১ মে ওই নারী রাজশাহীতে আসেন। দুপুরে আকাশের দুই বন্ধুর সঙ্গে ওই নারী গাজু মিয়ার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে ওই নারী আকাশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানান এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আকাশের বাবা-মা এতে রাজি না হয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।পরে আকাশের দুই বন্ধু ওই নারীকে নিয়ে চলে যায়। রাতে স্থানীয় একটি লিচু বাগানে রেখে চার যুবক মিলে ধর্ষণ করে বলে ওই নারীর অভিযোগ।
এ ঘটনার সঙ্গে তার ছেলে জড়িত ছিল না বলে দাবি করে আকাশের বাবা গাজু মিয়া বলেন, ওই মেয়ের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। আর আমার ছেলে আকাশের বয়স ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণির ছাত্র। তাদের দুপুরে খাওয়ানোর পর বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়। আকাশের দুই বন্ধু ওই মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। এর পর কী হয়েছে সে ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।তবে পরের দিন চন্দ্রিমা থানার ওসি তাকে জানিয়েছে- ওই মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন
Leave a Reply