অনলাইন ডেস্ক:
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই অফিস সহকারী অফিসে এসে জ্ঞান হারিয়েছেন। রোববার অফিসে অনুপস্থিত থাকার পর সোমবার অফিসে এসে জ্ঞান হারান তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কর্মস্থলে আসার পর জ্ঞান হারান সমালোচিত ওই নারী। এ সময় তার হাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে লেখা ছুটির আবেদনপত্র পাওয়া যায়।
পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করেন ওই নারী। ছুটির আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘অফিস চলাকালীন অসুস্থবোধ করায় আগামীকাল ২৭ আগস্ট থেকে তিনদিনের ছুটির প্রয়োজন আমার।’ অফিস সহকারীর ছুটির আবেদনপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার বলেন, ওই অফিস সহকারী ছুটির আবেদন করেছেন। তার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন জেলা প্রশাসক কর্মস্থলে যোগদান করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। সম্প্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিওসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অ ন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এ নিয়ে জামালপুরসহ সারাদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় রোববার জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হয়। একই সঙ্গে ডিসি আহমেদ কবীরকে সরিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ এনামুল হককে জামালপুরের নতুন ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এদিকে ডিসি আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই নারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই। এরই মধ্যে হঠাৎ করে রোববার উধাও হন ওই নারী। সেই সঙ্গে রোববার অফিসও করেননি তিনি। এরই মধ্যে সোমবার ছুটির আবেদন নিয়ে অফিসে আসেন ওই নারী। সচিবালয়ে নিজ দফতরে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে সদ্য ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে উদাহরণ সৃষ্টির মতো শাস্তি হবে।
এর আগের দিন শনিবার রাতের আঁধারে জামালপুর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান ওএসডি হওয়া জামালপুরের বিতর্কিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর।
Leave a Reply