( জাগো কুমিল্লা.কম)
যেকোন সময় খালেদা জিয়ার একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর কোষাধ্যক্ষ ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূঁইয়া মাসুম। তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে ন্যুনতম চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে না। বেসরকারি চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে ‘আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে মাসুম এ কথা বলেন। টকশো টি সঞ্চালনা করেন খালেদ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব এবং বিএমএ মহাসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী।
ডা. মাসুম বলেন, আমাদের যে অবজারভেশন বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একজন সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী, উনাকে যেভাবে বন্দি করে রাখা, আমি বলবো যে, উনাকে নুন্যতম চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে না। উনার অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি যদি বলেন কিভাবে দেয়া হচ্ছে না? তাহলে আমি হয়তো ক্যাটাগরিক্যালি বলতে পারবো।
কিন্তু যেহেতু আমি মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না সেজন্য আমি অনেক কিছু প্রমাণ দেখাতে পারবো না। তবে উনি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এবং স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। খুবই উদ্বেগজনক এবং যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
টকশোর আরেক অতিথি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, প্রথম কথা খালেদা জিয়া অসুস্থ্য, বয়স্ক, আইসোলেটেড কারাগারে আছেন। তার কতগুলো মূল প্রবলেম দেখা দিয়েছে, সেটা হচ্ছে তার হাটুতে সমস্যা এবং আনুসঙ্গিক যে রোগগুলো আছে। আরেকটি বোধহয় বড় সমস্যা আমার কাছে মনে হচ্ছে, সাইকোলজিক্যালি একটা লোক অনেকদিন ধরে যদি এরকম অবস্থায় থাকে, অসুস্থ্য না হওয়ার কোন কথা না। এগুলো কিন্তু আছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, খালেদা জিয়া যেহেতু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার তো একটা চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। এ সমন্ধে দ্বিমত থাকার কোন অবকাশ নেই। এখন রাষ্ট্রীয় আইন কিভাবে তাকে চিকিৎসা দেবে সেটা কিন্তু রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব, সরকারে দায়িত্ব। আমরা বলা, না বলা এখানে বিবেচনায় আসবে না।
অনুষ্ঠানের আরেক অতিথি বিএমএ মহাসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, যেকোন নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি তার রাইট টু হেলথ একসেস। এখন খালেদা জিয়ার যে বিষয়টি এসেছে, সেখানে আদালত জড়িত, জেলকোড জড়িত এবং চিকিৎসা জড়িত। শুধুমাত্র চিকিৎসা যদি হতো আদালত বা জেলকোড ছাড়া, তখন তিনি যেকোন জায়গায় ইচ্ছামত চিকিৎসা নিতে যেতেই পারতেন। এখন বিজ্ঞ আদালত কি বলেছেন, জেলকোড কি বলেছে, সেগুলোর সংমিশ্রণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে। সেটাই স্বাভাবিক।
Leave a Reply